শেয়ারবাজারে যে কৌশলে বিনিয়োগ করেন বিল গেটস

প্রযুক্তি কোম্পানি মাইক্রোসফটের ভিত গড়তে গিয়ে কলেজ ছাড়তে হয় বিল গেটসের। ১৯৭৩ সালে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন তিনি; স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরে ১৫৯০ পান। কিন্তু কম্পিউটার সফটওয়্যার তৈরির নেশা তাকে পরিণত করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সফল ড্রপ আউট হিসেবে। তিনি এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের। কিন্তু যখন শেয়ারবাজারের কথা আসে, তখন এ শীর্ষধনী আরেক ধনকুবের ওয়ারেন বাফেটকে অক্ষরে অক্ষরে মানেন।-খবর সিএনবিসির।

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ওয়াল স্ট্রিটে ষাড়ের তেজিভাব যেন আরো চাঙ্গা হতে থাকে। এ বছর আগের সব সূচককে পেছনে ফেলে এগিয়ে যায় মার্কিন বাজার। ভেঙ্গে ফেলে আগের সব রেকর্ডও। এখনো সে ধারা অব্যাহত আছে। ট্রাম্প রাজত্ব শুরু হওয়ার আগে অর্থনীতির এ গতিতে মার্কিন সুদের হার বাড়ানোর কথা ভাবেন নীতি নির্ধারকরা।

এক দশকের মধ্যে দ্বিতীয়বার সুদের হার বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ সিস্টেম। কিন্তু এর আগে অর্থনীতিতে কী ধরনের পরিবর্তন আসছে- সে দোলাচলে বিনিয়োগকারীরা যখন দুলছিলেন, তখন ঠিকই এগিয়ে গেছেন কৌশলী বিনিয়োগকারীরা। বিনিয়োগের কৌশলও তারা প্রয়োগ করেছেন।

বিল গেটস জানান, প্রযুক্তি বাজারে যাই হোক, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ওয়ারেন বাফেট তার ওঁস্তাদ। অর্থনীতির এমন দোলাচলের মধ্যেও তিনি  বিনিয়োগের কৌশল বদলাবেন না। বরং ওয়ারেন বাফেটকে অনুসরণ করবেন।

এক দর্শনে বিশ্বাস আছে বিল গেটসের। সেটি হচ্ছে ওয়ারেন বাফেটের দর্শন। তিনি বলেন, ওয়ারেন বাফেটের সামনে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি ধারণা আছে সেটা এমন- সামষ্টিক অর্থনীতির উত্থান-পতন হতেই পারে। যখন আপনি ভালো মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানি খুঁজে পাবেন, তখন তাতে বিনিয়োগ করুন।

বিল গেটস বলেন, আমি ও আমার ম্যানেজমেন্ট দল দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার দিকে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনে আমরা বিনিয়োগ কৌশল বদলায়নি। সুদের হার বাড়ানো হচ্ছে কি না- তার ওপর নির্ভর করেও কৌশল বদলায়নি।

আরও পড়ুন-

* শিথিল হচ্ছে পরিচালকদের শেয়ারধারণের শর্ত

*বসুন্ধরা সিমেন্টও আইপিওতে আসবে

*অর্থনীতি বাড়লেও পিছিয়ে পড়ছে শেয়ারবাজার

*সামিট পাওয়ার নিয়ে ব্যাখ্যা দিলো ডিএসই ও সিএসই

*বিএসইসির নজরদারিতে সাত কোম্পানি

*সূচক ১০ হাজার পয়েন্ট হলেও উদ্বেগের কিছু নেই : বিএসইসি চেয়ারম্যান